২ রা মে এর আগেই তৃণমূল বুঝে গেছে ওরা হারছে : রাজীব ব‍্যানার্জী

26th March 2021 9:04 pm হুগলী
২ রা মে এর আগেই তৃণমূল বুঝে গেছে ওরা হারছে : রাজীব ব‍্যানার্জী


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : তৃণমূল কংগ্রেস ২রা মে ফলাফলের আগে বুঝে গেছে তারা হেরে গেছে। তাই বিজেপির ওপর সন্ত্রাস তুলে প্রথম দফার নির্বাচনের আগে অভিযোগ জানাতে নির্বাচন দপ্তরে যাচ্ছে তৃনমূল কংগ্রেস। অর্থাৎ ভুতের মুখে রাম নাম। কটাক্ষ করলেন ডোমজুরের বিজেপি প্রার্থী রাজীব ব্যানার্জী। এদিন বিকালে জাঙ্গীপাড়া বিধানসভার বিজেপির প্রার্থী দেবজিৎ সরকারের সর্মথনে এক জনসভায় হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী ও রাজীব ব্যানার্জী। মুখ্যমন্ত্রীর নাম না করে রাজীব বলেন, আজকে যদি মানুষের জন্য কাজ করতেন তাহলে কেন্দ্রের সাথে ঝগড়া করতেন না। একটা রাজ্যের অর্থনৈতিক কে ঠিক করতে গেলে কেন্দ্রের সাথে ঝগড়া না করে একটা রাজ্য নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে না। একটা সময় ৩৪ বছর বাম সরকার ঝগড়া করে রাজ্যকে পিছিয়ে দিয়ে ছিল। রাজ্যের একজন মুখ্যমুন্ত্রী মুখ থেকে 'খেলা হবে' স্লোগান মানে নির্বাচনে রক্তের হোলি খেলা হবে, এরা এবারের নির্বাচনে রাজ্যে রক্তের হোলি খেলতে চাইছে। বাংলার গর্ব মমতা নয়, বাংলাকে যে খর্ব করেছে তার নাম মমতা ব্যানার্জী। যতদিন দিদি হিসাবে মানুষের কাছে ঠিক ছিলেন ততদিন ভালো ছিলেন, যেদিন পিসি হয়েছেন সেদিন থেকে এই দলটা লন্ডভন্ড হয়েগেছে। সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী পা ভাঙা নিয়ে দেবশ্রী চৌধুরী বলেন নাটক করার কিছু নেই জনগনের শুধু ভালোবাসা নেবেন, আর ভুল করে কেউ আঘাত করলে। সেটা নিয়ে ভাঙ্গা পা নিয়ে নাটক করবেন না। এতে জনগণের মনে আঘাত লাগে।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।